কাল বৈশাখী কাল হয়েছে ভুট্টা চাষীদের

কাল বৈশাখী কাল হয়েছে ভুট্টা চাষীদের

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ কম খরচে লাভ ও ভাল ফলনের আশায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার সৈয়দপুর চরাঞ্চল ও জেলার অনাবাদী জমি জুড়ে ব্যাপক হারে হাইব্রীড ভুট্টার আবাদ করেছিলেন চাষীরা। আশার আলো দেখছিলেন শতাধিক ভুট্টা চাষী। কিন্তু তাদের সেই আশায় গুড়েবালি!হঠাৎ গত ৪ এপ্রিল দুপুর থেকে শুরু হয় আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা। পরে শুরু হয় তীব্র বাতাস, লন্ড ভন্ড হয়ে যায় ঘরবাড়ি, গাছপালা, আবাদিজমি। সেই সাথে প্রায় ১ হাজার হেক্টর ভুট্টার ফসল নষ্ট হয় কৃষকের।
সরেজমিনে, ফুলছড়ি উপজেলার সৈয়দপুর চরাঞ্চল ও চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। লাভ তো দুরের কথা আসল টাকা তোলাই দায় হয়েছে এখানকার ভুট্টা চাষীদের। তাদের বুক ভরা কষ্ট দেখার যেন কেউ নেই। 
ভুট্টা চাষী নাহিদ বলেন, আমার ৭ বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ টাকা। ধার দেনা করে আবাদ করেছি এখন কি ভাবে এই টাকা পরিশোধ করবো ভেবে পাচ্ছি না। ভুট্টা ছাড়াও বিভিন্ন তরি-তরকারি সহ অনেক ফসল গরম বাতাসে পুড়ে গেছে। আমাদের এখানে এখন পযন্ত  সরকারের প্রতিনিধি খোজ নিতে আসে নাই।
ভুক্তভোগী জমিলা বলেন, আমারা কি ভাবে বাঁচব ভেবে পাচ্ছি না। এখন ঘর বাড়ী রেখে পালাতে হবে নইলে পাওনাদার এসে টাকার চাপ দিবে। সরকার থাকি যদি হামার(আমাদের) ঘরোক কোন সাহায্য করতো তাহলে একটু রেহাই পেতাম।
কৃষক সাজু মিয়া বলেন, আমার ৫২ বিঘা জমির ভুট্টা এক বারে জ্বলে গেছে। কি করে সংসার চালাবো, ছেলে মেয়েদের নিয়ে থাকবো কি, খাবো কি?।  আমরা চরাঞ্চলে বসবাস করি আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নেই ।

প্রতিবছর চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় শত শত বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। উৎপাদন হয় ৪০ মণ ভুট্টা। খরচ কম, লাভ বেশি, তাই এ অঞ্চলের চাষিরা ব্যাপকভাবে  ভুট্টার আবাদ করে থাকে। কিন্তু এ বছর কাল বৈশাখীর থাবায় কৃষকদের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন